দেশের গ্রাহকদের অনলাইন নিরাপত্তা সচেতনতায় বিশেষ সব পরামর্শ জানালো ভিসা

সেফার ইন্টারনেট ডে, অর্থাৎ নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল পরিসরে গ্রাহকদের নিরাপদ থাকা ও ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিতের কার্যকরী কিছু পরামর্শ জানিয়েছে ডিজিটাল পেমেন্ট খাতে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসা। বিশ্বব্যাপী অনলাইন জালিয়াতি ও তথ্যচুরির ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই ঝুঁকির আওতায় রয়েছে বাংলাদেশও। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের আরো সচেতন করে তোলা এবং নিরাপত্তা রক্ষার সর্বাধুনিক সব উপায় সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভিসা, যাতে গ্রাহকরা আরো স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে তাদের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেন।

 

“প্রাত্যহিক বিভিন্ন কাজ, সামাজিক যোগাযোগ কিংবা কেনাকাটার জন্য সময়ের সাথে সাথে আমরা আরো বেশি অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছি। আর এর সুযোগ নিয়ে প্রতারকরাও নতুন নতুন সব পন্থায় গ্রাহকদের তথ্য ও অর্থ চুরির চেষ্টা চালাচ্ছে। ১১ ফেব্রুয়ারি নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস উপলক্ষে সাধারণ গ্রাহক ও কার্ডহোল্ডারদের জন্য ডিজিটাল পরিসরে নিজেদের তথ্য নিরাপদে রাখা ও শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে ডিজিটাল পেমেন্ট সম্পাদনের নানা উপায় সম্পর্কে জানিয়েছে ভিসা। এছাড়াও, পেমেন্ট অবকাঠামো এবং গোটা ইকোসিস্টেমের অবস্থা আরো উন্নত করে তুলতে বিভিন্ন ব্যাংক ও ভিসার মত নেটওয়ার্কগুলো প্রতিনিয়ত নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে”, বলেন ভিসা’র বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ

 

গ্রাহকদের নিরাপদে রাখতে ভিসার উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে –

১। বায়োমেট্রিক তথ্যের মাধ্যমে ডিভাইস নিরাপদ রাখাঃ ফোন ও ল্যাপটপের মত ডিভাইসগুলোতে আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) বা চেহারা (ফেসিয়াল রিকগনিশন) ব্যবহার করা হলে তা গতানুগতিক পিন বা পাসওয়ার্ডের চেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা দেয়। বিশেষত ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

 

২। ট্রাস্টেড ওয়েবসাইট ব্যবহার করাঃ অনিরাপদ ওয়েবসাইট চেনার একটি সহজ উপায় হল এগুলো https:// দিয়ে আরম্ভ হয় না। এধরণের ওয়েবসাইটে ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। এছাড়া অ্যাপ ডাউনলোডের ক্ষেত্রেও সবসময় বিশ্বস্ত অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা উচিৎ, অন্যথায় সফটওয়্যার সংক্রান্ত ঝুঁকি রয়ে যেতে পারে।

 

৩। প্রাইভেসি পলিসি ভালোভাবে পড়াঃ অনেক দীর্ঘ ও জটিল হলেও যেকোনো ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা অর্থাৎ প্রাইভেসি পলিসি গুলো বিস্তারিত পড়ে নিলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের কতটুকু তথ্য সংগৃহীত হচ্ছে এবং তা কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে – এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পারেন। ভালোভাবে পড়ে কোন তথ্যগুলো শেয়ারের অনুমতি দেয়া হচ্ছে, তা জেনে নিলে সম্ভাব্য যেকোনো প্রতারণা এড়ানো যায়।

 

৪। ক্ষতির সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেয়াঃ অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে নেয়ার মত পদক্ষেপগুলোও জেনে রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নির্ধারিত হেল্পলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংক বা পেমেন্ট প্রোভাইডারের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা ও অনাকাঙ্ক্ষিত লেনদেনের বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ জানানো উচিৎ।

 

উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল পরিসরে আরো নিরাপদে কেনাকাটা ও অর্থ লেনদেন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। প্রযুক্তির রূপান্তরের সাথে সাথে অনলাইনে প্রতারকরাও নিত্যনতুন উপায়ে গ্রাহকদের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাই এই নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসে ইন্টারনেট ব্যবহারে আরো বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হবার প্রত্যয় জানাতে হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ

» বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা

» আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

» জুলাই আন্দোলন দমাতে ব্যবহৃত হয় শুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র: ক্রীড়া উপদেষ্টা

» ৭১ এর রাজনীতি ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে : উপদেষ্টা শারমীন

» একজন মুসল্লির মতো এলেন জীর্ণশীর্ণ দেখতে, এমন শাসক আর শাসনই আমাদের স্বপ্নময় ছিল! : প্রেস সচিব

» হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’-এর নিবন্ধন শুরু

» লোকসাহিত্য গবেষক ও কবি অ আ আবীর আকাশ এর জন্মদিনে বিভিন্ন মহলের উষ্ণ অভ্যর্থনা

» প্রাইম ব্যাংকের অগ্রযাত্রার ৩০ বছর: টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসাথে পথ চলার অঙ্গীকার

» বাগেরহাটের বলভদ্রপুর বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দেশের গ্রাহকদের অনলাইন নিরাপত্তা সচেতনতায় বিশেষ সব পরামর্শ জানালো ভিসা

সেফার ইন্টারনেট ডে, অর্থাৎ নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল পরিসরে গ্রাহকদের নিরাপদ থাকা ও ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিতের কার্যকরী কিছু পরামর্শ জানিয়েছে ডিজিটাল পেমেন্ট খাতে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসা। বিশ্বব্যাপী অনলাইন জালিয়াতি ও তথ্যচুরির ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই ঝুঁকির আওতায় রয়েছে বাংলাদেশও। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের আরো সচেতন করে তোলা এবং নিরাপত্তা রক্ষার সর্বাধুনিক সব উপায় সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভিসা, যাতে গ্রাহকরা আরো স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে তাদের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেন।

 

“প্রাত্যহিক বিভিন্ন কাজ, সামাজিক যোগাযোগ কিংবা কেনাকাটার জন্য সময়ের সাথে সাথে আমরা আরো বেশি অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছি। আর এর সুযোগ নিয়ে প্রতারকরাও নতুন নতুন সব পন্থায় গ্রাহকদের তথ্য ও অর্থ চুরির চেষ্টা চালাচ্ছে। ১১ ফেব্রুয়ারি নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস উপলক্ষে সাধারণ গ্রাহক ও কার্ডহোল্ডারদের জন্য ডিজিটাল পরিসরে নিজেদের তথ্য নিরাপদে রাখা ও শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে ডিজিটাল পেমেন্ট সম্পাদনের নানা উপায় সম্পর্কে জানিয়েছে ভিসা। এছাড়াও, পেমেন্ট অবকাঠামো এবং গোটা ইকোসিস্টেমের অবস্থা আরো উন্নত করে তুলতে বিভিন্ন ব্যাংক ও ভিসার মত নেটওয়ার্কগুলো প্রতিনিয়ত নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে”, বলেন ভিসা’র বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ

 

গ্রাহকদের নিরাপদে রাখতে ভিসার উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে –

১। বায়োমেট্রিক তথ্যের মাধ্যমে ডিভাইস নিরাপদ রাখাঃ ফোন ও ল্যাপটপের মত ডিভাইসগুলোতে আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) বা চেহারা (ফেসিয়াল রিকগনিশন) ব্যবহার করা হলে তা গতানুগতিক পিন বা পাসওয়ার্ডের চেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা দেয়। বিশেষত ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

 

২। ট্রাস্টেড ওয়েবসাইট ব্যবহার করাঃ অনিরাপদ ওয়েবসাইট চেনার একটি সহজ উপায় হল এগুলো https:// দিয়ে আরম্ভ হয় না। এধরণের ওয়েবসাইটে ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। এছাড়া অ্যাপ ডাউনলোডের ক্ষেত্রেও সবসময় বিশ্বস্ত অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা উচিৎ, অন্যথায় সফটওয়্যার সংক্রান্ত ঝুঁকি রয়ে যেতে পারে।

 

৩। প্রাইভেসি পলিসি ভালোভাবে পড়াঃ অনেক দীর্ঘ ও জটিল হলেও যেকোনো ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা অর্থাৎ প্রাইভেসি পলিসি গুলো বিস্তারিত পড়ে নিলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের কতটুকু তথ্য সংগৃহীত হচ্ছে এবং তা কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে – এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পারেন। ভালোভাবে পড়ে কোন তথ্যগুলো শেয়ারের অনুমতি দেয়া হচ্ছে, তা জেনে নিলে সম্ভাব্য যেকোনো প্রতারণা এড়ানো যায়।

 

৪। ক্ষতির সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেয়াঃ অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে নেয়ার মত পদক্ষেপগুলোও জেনে রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নির্ধারিত হেল্পলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংক বা পেমেন্ট প্রোভাইডারের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা ও অনাকাঙ্ক্ষিত লেনদেনের বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ জানানো উচিৎ।

 

উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল পরিসরে আরো নিরাপদে কেনাকাটা ও অর্থ লেনদেন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। প্রযুক্তির রূপান্তরের সাথে সাথে অনলাইনে প্রতারকরাও নিত্যনতুন উপায়ে গ্রাহকদের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাই এই নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসে ইন্টারনেট ব্যবহারে আরো বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হবার প্রত্যয় জানাতে হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com